ভারত
চলেছে গভীর সমুদ্রের তলায়
ভারত
সরকার এবার গভীর সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করতে এক বিশেষ সমুদ্র অভিযানের উদ্যোগ
নিল।
আর এই বিশেষ সমুদ্র অভিযানের জন্য তৈরি হচ্ছে
একটি অত্যাধুনিক ডুবোজাহাজ। এই ডুবোজাহাজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মৎস্য ৬০০০’।ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে ‘মৎস্য ৬০০০’-এর প্রাথমিক নকশা। ইসরো, ডিআরডিও-সহ বিভিন্ন ভারতীয়
গবেষণা সংস্থার উদ্যোগে এই ডুবোজাহাজ তৈরির কাজ চলছে। এটি সম্পূর্ণ রূপে ভারতে
তৈরি ডুবোজাহাজ বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে।
ইতিমধ্যেই
বিজ্ঞান মন্ত্রকের অধীনে থাকা চেন্নাইয়ের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি’ (NIOT) সমুদ্রের ৬০০০ মিটার গভীরে যাওয়ার মতো অত্যাধুনিক
যন্ত্র তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে।সমদ্র অভিযানের এই বিশেষ কার্যের অন্যতম
লক্ষ্য হল একটি মনুষ্যচালিত ডুবোজাহাজ তৈরি করা, যা
তিন জন মানুষকে নিয়ে সমুদ্রের ৬০০০ মিটার গভীরে যেতে পারবে।
সমুদ্রের
গভীর অন্বেষনের এই অভিযানের এক বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। পৃথিবীর ৭০ শতাংশ জল এবং বাকি
৩০ শতাংশ স্থল। আর সেজন্য মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে
সমুদ্র। বিজ্ঞানীদের দাবি, গভীর
মহাসাগরের প্রায় ৯৫ শতাংশ অনাবিষ্কৃত রয়ে গিয়েছে। ভারত তিনটি দিক দিয়ে
সমুদ্রবেষ্টিত। দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ উপকূলীয় এলাকাগুলিতে বসবাস করেন।
পর্যটন কেন্দ্র এবং ব্যবসার কারণেও ভারতের অর্থনীতিতে এই অঞ্চলগুলির বিশেষ অবদান
রয়েছে।
ভারত
সরকার এই অভিযানে ৫ বছরের জন্য ৪,০৭৭
কোটি বরাদ্দ করেছে। ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ এর মধ্যে এই ডুবোজাহাজ তৈরি করার
পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। প্রথম ৩ বছরে আনুমানিক ৩ হাজার কোটি খরচ হবে। বাকি খরচ
হবে পরবর্তী দু’বছরে।
এখনও পর্যন্ত আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান, ফ্রান্স এবং চিনের কাছে
মানবচালিত এমন ডুবোজাহাজ রয়েছে যা সমুদ্রের গভীরে যেতে পারে। খুব শীঘ্রই এই দলে
নাম লেখাবে ভারত।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন