ভাবসম্প্রসারণ:-
সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়ে বাস করতে হয়। পরস্পরের প্রতি স্নেহ-ভালবাসা প্রীতির বিনিময়েই মানবজীবন সার্থক হয়ে ওঠে। সামাজিক জীব হিসাবে সমাজের প্রতি প্রত্যেক মানুষেরই কিছু দায়িত্ব এবং কর্তব্য আছে। তাইতো মানুষ একের বিপদে অপরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু যে মানুষ নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত, শুধু নিজের স্বার্থ ছাড়া আর সবকিছু ভুলে যায়, সে মানুষ স্বার্থপর। এতে সত্যিকার সুখ, বেঁচে থাকার সত্যিকার আনন্দ পাওয়া যায় না। অপরের জন্য কিছু করার মধ্যেই আছে প্রকৃত সুখ, আনন্দ। ক্ষুদ্র 'আমি'র গণ্ডীর বাইরে আসতে না পারলে প্রকৃত সুখ বা আনন্দের সন্ধান পাওয়া যায় না। নিঃস্বার্থ সেবার মধ্যেই মনুষ্যত্বের চরম বিকাশ। তাইতো যুগে যুগে কত মানুষ পরের স্বার্থে জীবন উৎসর্গ করেছেন। প্রকৃত সুখ ও আনন্দের সন্ধান পেয়ে তাঁদের জীবন সার্থক হয়েছে। কোন সমাজের প্রতিটি মানুষই যদি কেবলমাত্র নিজের স্বার্থ-চিন্তায় মগ্ন থাকে তবে সে-সমাজের উন্নতি কখনই সম্ভব নয়। তাই প্রত্যেককেই শুধু নিজের স্বার্থ নয়, অপরের স্বার্থের কথাও চিন্তা করতে হবে।
এই ভাবসম্প্রসারণের অনুসরণে লেখা যায় :-
১. স্বার্থমগ্ন যে জন, বিমুখ বৃহৎ জগৎ হতে,
সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে।
২. মানুষ মানুষেরই জন্য
৩. পরের জন্য আত্মবিসর্জন ভিন্ন পৃথিবীতে স্থায়ী সুখের কোন মূল্য নাই।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন