উ:- তারা হল গ্যাসীয় পদার্থের একটি গোলা। এই উত্তাপ এতই বেশী যে, তারার ভিতরে থাকা গ্যাসের দহন ঘটে এবং তারাকে উজ্জল দেখায়।
২) তারাগুলির উষ্ণতা কত?
উ:- তারাগুলির উষ্ণতা ২,১০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড থেকে প্রায় ৫০,০০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড।
৩) কোন তারা কত বেশি উজ্জ্বল তা বুঝব কিভাবে?
উ:- তারার রং-ই হল তার উষ্ণতার সূচক। লাল তারার থেকে সাদা তারার উত্তাপ বেশী। আর যে সমস্ত তারা এদের থেকেও বেশি উজ্জ্বল সেগুলিকে নীলাভ দেখায়।
৪) নীহারিকা কি?
উ:- ধূলিকণা ও গ্যাসের বিশাল মেঘ- ঘনীভূত হয়ে যা সৃষ্টি হয় তাকে নীহারিকা বলে। বাষ্পায়িত গ্যাসীয় দানার মতো এই নীহারিকাগুলিই আসলে তারার জন্মদাতা।
৫) আকাশের তারাদের মধ্যে কোন গ্যাস থাকে?
উ:- তারাগুলি হল প্রধানত হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম গ্যাসের পিন্ড।
৬) তারাগুলির তাপ ও আলোর উৎপত্তি ঘটে কোথা থেকে?
উ:- হাইড্রোজেন বোমার মতোই তারাগুলির কেন্দ্রস্থলে যে নিউক্লিয় বিক্রিয়া ঘটে তার প্রভাবে তাপ ও আলোর উৎপত্তি হয়।
৭) তারাগুলির কেন্দ্রস্থলে উষ্ণতা কত?
উ:- তারাগুলির কেন্দ্রস্থলের উষ্ণতা মোটামুটি ১.৬ কোটি ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড হয়। এই উষ্ণতায় উত্তপ্ত একটি বালিকণা ১৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা কোনো মানুষকে মেরে ফেলতে পারে।
৮) উত্তপ্ত তারার মধ্যস্থিত সব পদার্থ কি
অবস্থায় থাকে?
উ:- উত্তপ্ত তারার মধ্যস্থিত সব পদার্থই প্লাজমা (plasma) অবস্থায় অর্থাৎ পরমাণু থেকে ইলেকট্রন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে।
৯) আমরা তারাকে মিটমিট করতে দেখি কেন?
উ:- বায়ু প্রবাহের জন্য পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব অনবরত বদলায়। তারার আলো পৃথিবীর এই বায়ুমন্ডলের মধ্য দিয়ে আসে বলেই আমরা তারাকে মিট মিট করতে দেখি।
১০) তারাগুলির কেন্দ্রস্থলে কোন বিক্রিয়া ঘটে?
উ:-তারাদের কেন্দ্রস্থলে চারটি হাইড্রোজেন নিউক্লিয়াস জুড়ে গিয়ে উৎপন্ন করে একটি হিলিয়াম নিউক্লিয়াস। এটি হল নিউক্লিয় সংযোজন বিক্রিয়া।
১১) একটি তারার-আকৃতি কত তা কিভাবে বিচার করা
হয়?
উ:- ঔজ্জ্বল্য এবং উষ্ণতা থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হিসেব করে বলেন একটা তারা কত বড়ো। কোনো একটি তারার আকার এবং ঔজ্জ্বল্য তার ভরের ওপর নির্ভরশীল।
১২) সূর্য কি ধরণের তারা?
উ:- আমাদের সূর্য একটা মাঝারি আকারের তারা। এই মহাবিশ্বে আর এমন কোনো তারা নেই যার ভর সূর্যের ভরের ১০০ গুণ বেশী অথবা সূর্যের ভরের ৬-৭ শতাংশেরও কম।
১৩) একটি নীল তারার উষ্ণতা কত?
উ:- অতিদানব আকারের নীল তারা যেটা পাপিস-এর পৃষ্ঠদেশের উষ্ণতা প্রায় ৪০,০০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড।
একটি তারার জীবনচক্র ও তার নামকরণ:-
১) গ্যাস এবং ধূলিকণা পুঞ্জীভূত হয়।
২) সৃষ্টি হয় এক উত্তপ্ত কেন্দ্রস্থলের জন্ম হয় এক নতুন তারার।
৩) আমাদের সূর্যের মতো প্রজ্জ্বলিত তারা বা মূল তারা।
৪) শীতল হয়ে পরিণত হয় এক লাল দানবের।
৫) যা শেষপর্যন্ত জন্ম দেয় এক ক্ষুদ্রতর, উষ্ণতর শ্বেত বামনের।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন