শ্বসন বলতে কী বোঝায় এবং এর সঙ্গে যুক্ত বৈজ্ঞানিকগণ
বিজ্ঞানী স্যার হান্স অ্যাডল্ফ ক্রেবস ছিলেন জার্মান চিকিৎসক ও প্রাণরসায়নবিদ। ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে জার্মানিতে তাঁর জন্ম হয়। তিনি শ্বসনের সাইট্রিক অ্যাসিড চক্র (TCA Cycle) আবিষ্কার করেন। ক্রেবস্-এর নাম অনুসারে এই চ্ক্রকে 'ক্রেবস চক্র' বলা হয়। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে এই মহান বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়।
জীবন-বিজ্ঞানের শ্বসন অধ্যায় থেকে ১০০ প্রশ্ন এবং উত্তর
শ্বসন পদ্ধতিতে উক্ত শক্তি সমন্বিত খাদ্য জীব-দেহকোশে অক্সিজেনের সাহায্যে জারিত হয়ে স্থৈতিক শক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই গতিশক্তি জীবের বিভিন্ন প্রকার জীবন ক্রিয়া চালু রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং জীবদেহে বিভিন্ন প্রকার শারীরবৃত্তীয় কার্য সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করাই শ্বসনের একমাত্র উদ্দেশ্য। সালোকসংশ্লেষে উৎপন্ন খাদ্য এবং অক্সিজেন শ্বসনে ব্যবহৃত হয়, আর শ্বসনে উৎপন্ন কার্বন-ডাই-অক্সাইড সালোকসংশ্লেষে ব্যবহৃত হয়। অতএব সালোকসংশ্লেষ এবং শ্বসন জৈবিক প্রক্রিয়া দুটি পরস্পর পরস্পরের উপর নির্ভরশীল এবং বিপরীতমুখী।
১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিজ্ঞানী ল্যাভয়সিয়ার (Lavoisier) প্রথম কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলেন, শ্বসন একপ্রকার দহন প্রক্রিয়া যার দ্বারা জীবকোশ-মধ্যস্থ শ্বসন বস্তু অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে শক্তি নির্গত করে। শ্বসন কথাটি ল্যাটিন শব্দ "রেসপিরেয়ার" (Respirare) অর্থাৎ "শ্বাসকার্য" থেকে উৎপত্তি হয়েছে। জৈবিক প্রয়োজনে জীবদেহে প্রতিনিয়ত নানাপ্রকার জৈবনিক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন শক্তি। জীব খাদ্য গ্রহণ করে ঐ শক্তি অর্জন করে।খাদ্যস্থিত স্থৈতিক শক্তি যা সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৌরশক্তি থেকে সঞ্চিত হয়, তা শ্বসন নামক জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গতিশক্তি বা তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। আসলে জীবদেহে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্য সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন করাই শ্বাসনকার্যের তথা শ্বসনের একমাত্র উদ্দেশ্য।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন