নেপালের পাথর
আসছে রামের মূর্তির জন্য
প্রায়
তিন ফুট দীর্ঘ এক সুঠাম, কৃষ্ণাঙ্গ, পরিণতবয়স্ক রামের মূর্তি দেখা পাবেন ভক্তরা রামজন্মভূমি অযোধ্যার নতুন
মন্দিরে।এই বিগ্রহের জন্য ইতিমধ্যেই নেপাল থেকে অযোধ্যায় আনা হচ্ছে বিশেষ
শিলাখণ্ড। তবে এই শিলা কোন সাধারন শিলা নয়। হিন্দু শাস্ত্রে যে শালগ্রাম শিলাকে
ভগবান বিষ্ণুর প্রতিভূ বলে মানা হয়, সেই
শালগ্রাম শিলা দিয়েই তৈরি হবে অযোধ্যার নতুন রাম মন্দিরের নতুন রামের বিগ্রহ। নেপালের
কালী গণ্ডকী নদীতে পাওয়া গিয়েছিল দু’টি
শালগ্রাম শিলার খণ্ড। অযোধ্যার রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট সেই শিলা দু’টিই চায় নেপাল সরকারের কাছে।সম্প্রতি সেই
শিলা দু’টি
ভারতকে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে নেপাল সরকার এবং নেপালের খনিজ এবং ভূতাত্ত্বিক বিষয়ক মন্ত্রক।নেপালের
খনিজ এবং ভূতাত্ত্বিক মন্ত্রক সূত্রে খবর দু’টি শিলাখণ্ডের ওজন ৩৫ টন, আর বয়স কম করে ৬ কোটি বছর।নেপালের কালী
গণ্ডকী নদীতে পাওয়া গিয়েছিল এই দু’টি
শালগ্রাম শিলার খণ্ড।
কিন্তু
এখন প্রশ্ন হল রামলালার কি হবে! রামলালা
যার অর্থ শিশু রাম, তার
একটি মূর্তি ১৯৪৯ সালে পাওয়া যায় বাবরির মধ্যবর্তী গম্বুজের নীচে। তার পর থেকেই
শুরু হয় নানা বিতর্কের।আর ১৯৮৬ সালে এই শিশুরামের পুজোর জন্য আদালত বিতর্কিত
জমির প্রবেশ দ্বার খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।এরও ৬ বছর নানা বিতর্কের মধ্যে ঘটে যায়
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা। অবশ্য গত ২০১৯ সালের নভেম্বরে এই সমস্ত ধরনের ইতি টানে
সুপ্রিম কোর্ট।অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি হিন্দু মন্দির তৈরির জন্য অছি
পর্ষদকে দিয়ে দেওয়ার পর, অতিরিক্ত
৫ একর জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে মসজিদ তৈরির জন্য দেওয়ার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ
আদালত।
আপাতত
একটি স্থানান্তরযোগ্য মন্দির তৈরি করে রামলালার পুজো হচ্ছে সেখানে, কিন্তু দিন কয়েক পরে যখন নতুন রাম
মন্দিরে বিগ্রহ বসানো হবে, তখন
সেখান থেকে ১৯ ফুট দূরত্বে দাঁড়াতে পারবেন ভক্তরা। ছোট্ট রামলালার মূর্তিকে
সেখান থেকে দেখাই যাবে না। ভক্তদের অসুবিধা হবে এই আশঙ্কা থেকেই নতুন মূর্তির
সিদ্ধান্ত।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন