পাথর
খান এখানকার লোকেরা
দুর্গম
এই এলাকার মানুষদের যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ। আশেপাশে কোনও পাহাড়ি শহরে যেতে
হলে পায়ে হেঁটেই পৌঁছতে হয় তাঁদের। এই মানুষগুলোর জীবনধারণও খুবই সাধারণ। জানা
যায় কোনও রোগ হলে তাঁরা বাজার থেকে ওষুধ কিনে খান না। তার বদলে আশেপাশে জন্মানো
ভেষজ উদ্ভিদ খেয়ে নেন। আবার বদহজম, অ্যাসিডিটি
এবং গ্যাসট্রিক-এর সমস্যা হলে তাঁরা একপ্রকার পাথর খান। স্থানীয়দের কাছে এই পাথরটি
চুগ ঝি নামে পরিচিত। উজ্জ্বল সাদা রঙের এই পাথর দু’রকম রূপভেদে পাওয়া যায়। একটিকে বলা হয় ফো চোং
এবং অন্যটি হল মং চং। ফো চোংকে পুরুষ পাথর এবং মং চং মহিলা পাথর হিসাবে ধরা হয়। কোনও
পুরুষ অসুস্থ হলে তাঁকে মং চং পাথর খাওয়ানো হয় এবং মহিলা অসুস্থ হলে তাঁকে ফো চোং
খাওয়ানো হয়। এটি করা হয় হিমাচল প্রদেশের প্রত্যন্ত এলাকা স্পিতি উপত্যকায় ।
স্পিতি নামের অর্থ মধ্যবর্তী এলাকা। ভারত এবং তিব্বতের মাঝে থাকার জন্যই এর এমন
নামকরণ হয়েছে।
এই
পাথর থেকে ওষুধ তৈরি করার জন্য প্রথমে পাথরের টুকরোগুলো সংগ্রহ করে তা গুঁড়ো করে
নেওয়া হয়। তার সঙ্গে মেশানো হয় প্রয়োজন মতো নানা ভেষজ উদ্ভিদ। সব একসঙ্গে মিশিয়ে
তৈরি হয় ওষুধ। বদহজম, অ্যাসিডিটিতে
যাঁরা ভুগছেন তাঁদের দিনে দু’বার
করে দু’সপ্তাহ
ধরে চা চামচের এক চতুর্থাংশ খেতে হবে এই ওষুধ। আর এরপর নাকি রোগী একেবারে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন