কোন
দেশের শাসনব্যবস্থা
রাষ্ট্রের
একটি অপরিহার্য মৌলিক উপাদান হল ‘সরকার’। বস্তুত State
বা রাষ্ট্রকে আমরা চোখে দেখতে পাই না; এটি নিতান্তই একটি তত্ত্বগত
বা বিমূর্ত ধারণা। 'সরকার'-ই হল রাষ্ট্রের বাস্তব রূপ।
অধ্যাপক গেটেলের মতে, সরকার
হল রাষ্ট্রের একটি যন্ত্র বা সংগঠন।
গ্রিক
দার্শনিক অ্যারিস্টট্ল তাঁর The Politics গ্রন্থে
সরকারের শ্রেণিবিভাজনের বিষয়টিকে তুলে ধরেন। অ্যারিস্টট্ল শাসনব্যবস্থাকে তিনটি
শ্রেণিতে ভাগ করেছেন- ১)রাজতন্ত্র
(বিকৃত রূপ-স্বৈরতন্ত্র), ২)অভিজাততন্ত্র (বিকৃত রূপ-ধনতন্ত্র) এবং ৩)নিয়মতন্ত্র (বিকৃত রূপ-গণতন্ত্র)।
প্রাচীন
গ্রিসের প্রেক্ষিতে করা অ্যারিস্টটলের এই শ্রেণিবিভাগ আধুনিক যুগে প্রযোজ্য নয়।
আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে লীকক ও ম্যারিয়ট প্রমুখ সরকারের এক ভিন্নতর রূপ
উপস্থাপিত করতে চেয়েছেন। পরবর্তীকালে আচরণবাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে অ্যালমন্ড
ও পাওয়েল সরকারের বদলে রাজনৈতিক ব্যবস্থার শ্রেণিবিভাজন উপস্থাপিত করেছেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ম্যারিয়ট বর্তমান যুগে সরকারের শ্রেণিবিভাজনকে তিনটি দৃষ্টিকোণ
থেকে উপস্থাপন করেছেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ম্যারিয়ট মতে সরকারের শ্রেণিবিভাজন এইরকম:- ১) এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয়
(ক্ষমতা বণ্টনের ভিত্তিতে), ২)
সুপরিবর্তনীয় ও দুষ্পরিবর্তনীয় (সংবিধান সংশোধনের পদ্ধতির দিক থেকে) এবং ৩)
মন্ত্রীপরিষদ শাসিত ও রাষ্ট্রপতি শাসিত (আইনবিভাগের সঙ্গে শাসনবিভাগের সম্পর্কের
ভিত্তিতে)। আচরণবাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা মনে করেন, রাষ্ট্রচরিত্রের
আভাস সরকারের শ্রেণিবিভাজনের মধ্যে পাওয়া যায় না। এই কারণে তাঁরা সরকারের বদলে
রাজনৈতিক ব্যবস্থার শ্রেণিবিভাজন করেছেন এইভাবে—১) উদারনৈতিক গণতন্ত্র, ২) সর্বাত্মকতন্ত্র এবং ৩)
স্বৈরতন্ত্র।
The truth is, there seems to be no
single principle or criterion, juridical or otherwise. upon which a
satisfactory classification of states can be made...It is believed that by
reason of the peculiar nature of states any attempt to differentiate between them
and to classify them is scientifically as largely futile and leads to results
which have little or no practical or scientific value.
-J. W. Garner [Political Science and
Government, p. 255-56]
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন