ভৌতিক এই গ্রাম পর্যটকদের প্রিয় স্থান
মাওরি উপজাতিদের অতীত জনপদ হল “তে ওয়াইরোয়া” । ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ জুন মাউন্ট তারাওয়েরা-র অগ্ন্যুৎপাতের গ্রাসে চলে গিয়েছিল এই জনপদ। ধ্বংসলীলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১২০ জন। ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে এই গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ধর্মপ্রচারক সেমৌর মিলস স্পেনসার। নিউজিল্যান্ডের বিশ্বখ্যাত উষ্ণ প্রস্রবণ ‘পিঙ্ক অ্যান্ড হোয়াইট টেরেস’ দেখতে যাওয়ার পথে এই জনপদে বিশ্রাম নিতেন পর্যটকরা। প্রথমে ভাবা হয়েছিল ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে আগ্নেয়গিরি তারাওয়েরা-র অগ্ন্যুৎপাতে বিলীন হয়ে গিয়েছে এই দু’টি উষ্ণ প্রস্রবণও। কিন্তু পরে তাদের অস্তিত্ব আবার খুঁজে পাওয়া যায়। অতীতের এই জনপদ আজ দাঁড়িয়ে আছে পরিত্যক্ত, ভৌতিক শহর হয়ে।
নিউজিল্যান্ডের রোটোরুয়া শহর থেকে ১৪ কিমি দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত এই ঘুমন্ত শহর। কিন্তু এই জনপদ বর্তমানে ব্যক্তিগত সম্পত্তি। ১৯৩১ সালে ‘তে ওয়াইরোয়া’ কিনে নেন এক দম্পতি, রেগ এবং ভি স্মিথ। সে সময় এই জমিতে একটি মাত্র বাড়ি ছিল। স্মিথ দম্পতি কিনে নেওয়ার পরে শুরু হয় খননকাজ। এখন পরিবারটির তৃতীয় প্রজন্ম রয়েছে ভৌতিক শহরের মালিক হিসেবে। স্থানটির রক্ষণাবেক্ষণ ও খননের জন্য তাঁরাও যথেষ্ট যত্নবান। খননের ফলে পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসগুলিও রাখা হয় যথেষ্ট যত্ন করে ‘তে ওয়াইরোয়া’-র সংগ্রহশালায়।
অথচ এই ভৌতিক শহর ‘তে ওয়াইরোয়া’ আজ পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য স্থান। ‘ওয়াইরোয়া ঝর্না’, ‘রোটোকাকাহি হ্রদ’ এবং ‘তারাওয়েরা হ্রদ’ পর্যটকদের কাছে অন্যতম দর্শনীয়। তবে আগ্নেয়সমাধি হওয়া এই জনপদের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে আজ থেকে ২৩৫ বছর আগের একটি সেলাইমেশিন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন