রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩

ইনি ভারতে তৈরি করেছেন ইন্ডিয়ান প্যারানরমাল সোসাইটি

 

Indian Paranormal Society-প্রতিষ্ঠাতা



২০০৯
সালে ভারতে এনার হাত ধরেই তৈরি হয়েছিল
ইন্ডিয়ান
প্যারানরমাল সোসাইটি।
অথচ এই তরুণের মাত্র
৩২ বছর বয়সে নিজের বাড়ির বাথরুমে রহস্যমৃত্যু হয়েছিল এই তরুণের।
বেসরকারি
সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিকের ছেলে গৌরব তিওয়ারির জন্ম ১৯৮৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর।
তাঁকে আমেরিকার টেক্সাসে পাঠানো হয়েছিল বিমানচালনার প্রশিক্ষণ নিতে। কোর্স
চলাকালীন ফ্লোরিডায় একটি বাড়িতে কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে থাকতেন গৌরব। গৌরবের দাবি
, সেখানেই আশ্চর্য অভিজ্ঞতার
শিকার হন তিনি। গৌরবের দাবি
, তিনি
ও তাঁর বন্ধুরা ওই বাড়িতে অশরীরীর উপস্থিতি টের পেয়েছিলেন। এই অভিজ্ঞতার পর থেকে
গৌরবের মনে
ভৌতিক এবং ভূত সংক্রান্ত বিষয়ের উপর দুর্নিবার আকর্ষণ জন্মায়।
তিনি ঠিক করেন
, এই
বিষয়ে গবেষণা করবেন।
আমেরিকার প্যারানেক্সাস অ্যাসোসিয়েশন থেকে
স্বীকৃতি পান তিনি।
ফ্লোরিডার ইনস্টিটিউট অব মেটাফিজিক্যাল
সায়েন্স তাঁকে স্পিরিচুয়াল কাউন্সেলর এবং হিপনটিস্টের শংসাপত্র দেয়।



বিভিন্ন
সমাধিক্ষেত্র-সহ
ভৌতিক বলে পরিচিত এ রকম ছহাজারের বেশি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন গৌরব।
নিজের অভিজ্ঞতা জানাতেন ব্লগে বা টেলিভিশনের পর্দায়। তাঁর অভিজ্ঞতা বলছে
, দেশের অন্যতম ভৌতিক
ধ্বংসাবশেষ বলে পরিচিত ভানগড় কেল্লায় নাকি আদপেই অশরীরীর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
তাঁর
এই অভিনব ভাবমূর্তি এবং অভিনয়ের নেশা তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল বিনোদনের
দুনিয়াতেও।
হন্টেড
উইকএন্ড উইথ সানি লিওন
, ভূত
আয়া
, ফিয়ার
ফাইলস
-এর
মতো টেলিভিশন শোগুলির অপরিহার্য অংশ করে তুলেছিল তাঁকে।



লেখালেখি
ও কাজের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলেও গৌরব বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার
প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর অ্যালেন টাইলারেরও তিনি বন্ধু ছিলেন। দু
জনে একসঙ্গে কাজও করেছেন হন্টিং: অস্ট্রেলিয়া সিরিজে। ২০১৬ সালের ৭ জুলাই দিল্লির
দ্বারকায় নিজের বাড়িতে রহস্যজনক ভাবে মারা যান গৌরব। তাঁর বাড়ির লোক জানান
, সে দিন সকাল ১১টা নাগাদ স্নান
করতে ঢোকেন গৌরব। কিছু ক্ষণ পর বাথরুমের ভিতর থেকে জোরে কিছু পড়ার শব্দ হয়।
বাড়ির
লোক এর পর গৌরবকে ডেকেও সাড়া না পেয়ে বাথরুমের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। পুলিশকে
তাঁরা জানান
, সে
সময় গৌরবকে তাঁরা বাথরুমের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে
মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গৌরবের নিথর দেহের গলায় মোটা কালো দাগ ছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।



ময়নাতদন্তের
রিপোর্টে অবশ্য গৌরবের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেই চিহ্নিত করেছে। যদিও তাঁর কাছের
লোকদের দাবি
, জীবন
শেষ করে দেওয়ার মতো কিছুই ঘটেনি গৌরবের ক্ষেত্রে। আর্থিক ক্ষতি বা মানসিক অবসাদ
, কোনওটারই সম্মুখীন হননি তিনি।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন