শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল আজব আচরণ  করছে

পৃথিবীর
অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রের ঘূর্ণন



পৃথিবীর
ইনার
কোর

অর্থাৎ পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল নিজের উপস্থিতি টের পাইয়ে দেয় ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরি
থেকে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে।



বিজ্ঞানীরা
বহু বছর ধরেই দাবি করে এসেছেন যে
, ভূভাগ
বরাবর পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল অনবরত ঘুরে চলেছে। কিন্তু তার ঘূর্ণনের দিক সব সময়
একমুখী হয় না। সময় বিশেষে দিক পরিবর্তনও করে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।সম্প্রতি নেচার
জিওসায়েন্স একটি গবেষণার মাধ্যমে এই বিষয়ে আলোকপাত করেছে। গবেষণার সঙ্গে জড়িত
বিজ্ঞানী এবং গবেষকেরা জানিয়েছেন যে
, পৃথিবীর
কেন্দ্রস্থল এক দিকে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ থেমে যাওয়ার পর আবার কোন সময়ে হঠাৎ বিপরীত
দিকে ঘুরতে শুরু করে।গবেষকদের দাবি
, ঘড়ির
কাঁটার দিকে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের ঘূর্ণন শুরু হলে
, কয়েক বছর পর তা আবার ঘড়ির
কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করে।অনেক সময় আবার মাঝে কিছু ক্ষণের জন্য এই ঘূর্ণন
থেমেও যায়। ২০০৯ সালে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ থেমে গিয়েছিল বলে
জানিয়েছেন গবেষকরা। তার পর আবার বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করে।



১৯৭০
সালের গোড়ার দিকে প্রথম বার পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের ঘূর্ণনের অস্তিত্ব টের পান
বিজ্ঞানীরা। তাঁদের অনুমান
, আবার
২০৪০ সালের মাঝামাঝি সময়ে দিক পরিবর্তন করে উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করবে কেন্দ্রস্থল।
ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট তরঙ্গের গতিপ্রকৃতি পরীক্ষা করতে গিয়ে ১৯৩৬ সালে
ইনার কোর বা পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল আবিষ্কার করেন গবেষকরা।
ক্রাস্ট
, ম্যান্টল
এবং কোর
-
 এই ৩ ভাগে বিভক্ত রয়েছে কেন্দ্রস্থল। মতো।ম্যান্টল এবং ক্রাস্টের ঘূর্ণনের
গতিবেগের চেয়ে কোর এলাকার ঘূর্ণন প্রতি বছর বেড়ে চলেছে বলে দাবি গবেষকদের
একাংশের।



কিন্তু
এই ঘটনার ফলে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গবেষকরা অবশ্য জানিয়েছেন
, এর
ফলে কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই। বিশ্ববাসী এই ঘূর্ণনের ফলে কিছু টেরও পাবেন না। তবে
, ভূগর্ভের প্রতিটি স্তরের একে
অপরের সঙ্গে যে যোগসূত্র রয়েছে তার প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন