রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩

আলিপুরের ধন ধান্য প্রেক্ষাগৃহ সম্পর্কে যা জানা দরকার

 

ধন ধান্য প্রেক্ষাগৃহ

আলিপুরের বুকে তৈরি হয়েছে শাঁখের আদলে এক প্রেক্ষাগৃহ, যার নাম ধন ধান্য গত বৃহস্পতিবার ১৩ই এপ্রিল বিকেলে এটি উদ্বোধন করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ধন ধান্য নামটি তাঁরই দেওয়া। শাঁখের আদলে তৈরির ভাবনাও তাঁর নিজের।

আন্তর্জাতিক মানের ছতলা এই প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হয়েছে ৬ হাজার মেট্রিক টন ইস্পাত দিয়ে। তার উপর রয়েছে নকশা করা দস্তার মোড়ক। যে দস্তা এসেছে ফ্রান্স থেকে। এই প্রেক্ষাগৃহের দৈর্ঘ্য ৫১০ ফুট এবং প্রস্থ ২১০ ফুট। উচ্চতা ৬০০ ফুট। বিশাল এই প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে রয়েছে দুটি সভাঘর, ৩টি থিয়েটার হল, ২টি বোর্ড রুম, ৬টি অতিথি নিবাস এবং ২টি ডরমেটরি। এছাড়াও যে কোনও অনুষ্ঠানের জন্য ব্যাঙ্কোয়েট, কাফেটেরিয়া, ফুড কোর্টও রয়েছে এই অত্যাধুনিক প্রেক্ষাগৃহে।প্রেক্ষাগৃহের দুটি সভাঘরের মধ্যে রয়েছে দুহাজার আসনের একটি সভাঘর। অন্য সভাঘরের আসনসংখ্যা ৫৪০। রয়েছে একটি স্ট্রিট থিয়েটারও। যেখানে ৩৫০ দর্শক একসঙ্গে বসে রঙ্গমঞ্চ উপভোগ করতে পারবেন।

ধন ধান্যের একেবারে নীচের তলায় রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। দুভাগে কমপক্ষে ২৫০টি গাড়ি একসঙ্গে রাখা যাবে সেখানে। পরবর্তী কালে এমন ব্যবস্থা করার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, যেখানে গাড়ি ঢোকাতে এবং বার করতে সময় লাগবে খুব কম।

তবে এটি আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে রাতের অন্ধকারে। রাতের বেলা এই ইমারত আর সাদা থাকে না। সাদা রং বদলে একেবারে অন্য রূপে সেজে ওঠে ধন ধান্যের’ বাইরের অংশ। অন্ধকারে দূর থেকে ধন ধান্য’ দেখতে লাগে চকচকে বাদামি বর্ণের। তার উপর থেকে বার হয় চোখধাঁধানো বাহারি আলোর ছটা। যে আলো আনা হয়েছে আয়ারল্যান্ড থেকে। আয়ারল্যান্ড থেকে ৭০০০ আলো এনে ঢেলে সাজানো হয়েছে ধন ধান্যের বাইরের অংশ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধন ধান্য’ তৈরি হয়েছে চার একর জমির উপর। খরচ হয়েছে মোট ৪৪০ কোটি টাকা। পূর্ত দফতর এই প্রেক্ষাগৃহ তৈরির দায়িত্বে ছিল। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হিডকো-কে। ২০১৮ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের ধন ধান্য তৈরির কাজ শুরু হয়। মাঝে কোভিডের কারণে কাজ কিছু দিন আটকে থাকলেও পরে আবার জোরকদমে শুরু হয়ে যায় নির্মাণকাজ।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন