সামরিক শক্তির নিরিখে আমেরিকা, রাশিয়াকে সমানে সমানে পাল্লা দিয়ে চলে চিন। সেনাবাহিনীর দক্ষতা, কৌশল এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর অস্ত্রশস্ত্রের জোরে চিনের লালফৌজকে সারা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সামরিক শক্তি হিসাবে ধরা হয়। এই মুহূর্তে সামরিক শক্তির নিরিখে বিশ্বের তালিকায় চিন রয়েছে তৃতীয় স্থানে। তাদের আগে কেবল আমেরিকা এবং রাশিয়ার সেনার অবস্থান। তবে সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই দুই দেশকেও অনায়াসে টপকে যেতে পারে ‘পিপল্স লিবারেশন আর্মি’। ২০২১ সালের একটি পরিসংখ্যান বলছে, সে বছর আমেরিকা, রাশিয়া-সহ অন্য সকল দেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল চিনের সেনা। সামরিক শক্তির নিরিখে তারাই পৌঁছে গিয়েছিল শীর্ষে।
বিশ্বে সামরিক বাহিনীর তালিকায় চোখ রাখলে দেখা যায়, ভারতও খুব একটা পিছিয়ে নেই। আমেরিকা, রাশিয়া কিংবা চিনের সেনাবাহিনীর শক্তি ভারতের চেয়ে বেশি ঠিকই, তবে বিশ্বের সামরিক শক্তির তালিকায় এদের ঠিক পিছনেই রয়েছে ভারত অর্থাৎ ভারতীয় সেনা সামরিক শক্তির নিরিখে আছে চতুর্থ স্থানে।অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের জোগান এবং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বার বার সীমান্ত সংঘাত ভারতীয় সেনার শক্তি বৃদ্ধি করেছে।
সামরিক শক্তির তালিকায় চিনের সেনা ভারতের চেয়ে
অনেক এগিয়ে। অস্ত্রশস্ত্র, প্রযুক্তির
ব্যবহার, সেনা
কাঠামো, সব
দিক থেকেই ভারতের চেয়ে এগিয়ে চিন। কিন্তু দিল্লি বেজিংকে কেবলমাত্র একটি জায়গায়
হারিয়েছে। তা হল অভিজ্ঞতা। চিনের লালা ফৌজ শেষ বার যুদ্ধ করেছিল আজ থেকে ৪৪ বছর
আগে। ১৯৭৯ সালে ভিয়েতনামের বিরুদ্ধেই লালফৌজের রণকৌশল দেখা গিয়েছিল শেষ বার। তারপর
থেকে ৪৪ বছর চিন আর কোনও যুদ্ধ করেনি। অন্য দিকে, ভারত
শেষ বার যুদ্ধ করেছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, মাত্র
২৪ বছর আগে। কার্গিলের সেই যুদ্ধে ভারতীয় সেনা জয় পেয়েছিল। তখনই ভারতীয় সেনার
পারদর্শিতা শেষ বার দেখেছিল দুনিয়া।
যুদ্ধের সরঞ্জাম থেকে শুরু করে সেনার ক্ষমতা, চিন দিনের পর দিন তার সামরিক
শক্তি যতই বাড়িয়ে চলুক না কেন, তারা
রণকৌশল ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায়নি দীর্ঘ ৪৪ বছর। চিনা সেনাবাহিনীতে বর্তমানে যে
জওয়ানেরা আছেন, তাঁদের
বেশির ভাগই উচ্চ মানের প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। কিন্তু তাঁদের যুদ্ধের কোনও অভিজ্ঞতা
নেই। ফলে ভারত এ ক্ষেত্রে চিনের চেয়ে এগিয়ে।
২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে চিনের লালফৌজের সঙ্গে
ভারতের সংঘাত হয়েছিল বটে, তাতে
প্রাণহানিও হয়েছিল। কিন্তু এই দুই দেশ যুদ্ধের মাঠে মুখোমুখি হলে অভিজ্ঞতার নিরিখে
অনেকটা, এগিয়ে
থাকবে ভারত। এমনটাই মনে করেন সমর বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন