সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০২২

ভাবসম্প্রসারণ-অতি দীন ও আশক্ত ব্যক্তি

 


"অতি দীন ও আশক্ত ব্যক্তিরাই দৈবের দোহাই দিয়ে
থাকে।"

যারা
অক্ষমতা ও দীনতায় ভোগেন তারাই তাদের সেই অক্ষমতা ও দীনতাকে ঢাকবার জন্য অদৃষ্ট বা
দৈবের উপর দোষারোপ করেন।



আমরা
জানি
, Life is nothing, but a struggle for
existence
অর্থাৎ
জীবন আর কিছুই নয়
, টিকে
থাকার জন্য সংগ্রাম। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে
, জীবনের
উত্থান-পতন ও চড়াই-উৎরাই-এর মধ্য দিয়ে জীবনকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করার মধ্যেই থাকে
যথার্থ আনন্দ। কিন্তু যারা আশক্ত ও অক্ষম এবং মানসিকভাবে যারা দীন তারা জীবনের
মূলমন্ত্র জানেন না। তাই তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে এবং তখনই তারা দৈবের দোহাই
দিতে থাকেন। রবীন্দ্রনাথ তাই
'শিক্ষার
মিলন
' প্রবন্ধে
বলেছিলেন-আমি একদিন একটি গ্রামের উন্নতি করতে গিয়েছিলাম। গ্রামের লোককে জিজ্ঞাসা
করলুম
, 'সেদিন
তোদের পাড়ায় আগুন লাগল
, একখানা
চালাও বাঁচাতে পারলি না কেন
?' তারা
বললে
, 'কপাল'। সুতরাং আগুন নেভাতে না পারার অক্ষমতাকে
যারা
'কপাল' মনে করেন, তারা আর যাই হোক্‌ অন্তত
সংগ্রামী মানসিকতাসম্পন্ন নয়। জীবনের বৃহত্তর কর্মযজ্ঞের দিকে তাকালে দেখা যায়-
যারা পৃথিবীতে নানা কাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করছে
, পেয়েছে
প্রশংসার বরমাল্য
, তাদের
অগ্রগতির মূলধন
'দৈব
নয়
, পুরুষকার, পরনির্ভরশীলতা নয়, আত্মবিশ্বাস'। মানুষ তার নিজের ভাগ্য নিজেই তৈরী করে।



নিজেকে
ভাগ্যকর্তা মনে করে নিয়ে নিজের আত্মাবিশ্বাসের দ্বারা নিষ্ঠা ও পরিত্রাণের মাধ্যমে
মানুষ উন্নতি সোপানে পৌঁছে যেতে পারে। কিন্তু যারা ভীরু ও আত্মশক্তিতে বলীয়ান নয়
তারা কর্মবিমুখ হয়ে আদর্শচ্যুত হয় ও অদৃষ্ট বা নিয়তিকে মেনে নেয়। জীবনে প্রতিষ্ঠা
দৈবধন ভেবে তারা কালের হাতে নিষ্ক্রিয় পুতুল হয়ে ওঠে এবং তা প্রকৃত মানুষের লক্ষণ
নয়
, জাতি ও জাতীয় উন্নতির
পক্ষে এই ধরনের দীন ও অশক্ত ব্যক্তিরা অন্তরায়স্বরূপ।

ভাবসম্প্রসারণ লেখার গোড়ার কথা

ভাবসম্প্রসারণ লিখতে হলে যে বিষয়গুলি মনে রাখা দরকার

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন