সম্মিলিত
জতিপুঞ্জ
জতিপুঞ্জ
দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের শেষে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় মিত্রশক্তির নেতারা নতুন একটি
আন্তর্জাতিক সংগঠন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। প্রকৃতপক্ষে দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার প্রয়াস শুরু হয়ে যায়।
১৯৪১ সালের জানুয়ারি মাসে মার্কিন রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট মার্কিন কংগ্রেসে যেসব
নীতি ঘোষণা করেন তার মাধ্যমে জাতিপুঞ্জ গঠনের প্রচেষ্টার সূত্রপাত ঘটে। ১৯৪২ সালে
বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষাবিদদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটি যুদ্ধের সর্বনাশা
অবস্থা থেকে পরিত্রাণের চিন্তা শুরু করে। ১৯৪৩ সালে তেহেরান সম্মেলন, ১৯৪৪ সালে ব্রেটন উডস সম্মেলন
ও ডাম্বারটন ওকস্ সম্মেলন, ১৯৪৫
সালে ইয়াল্টা ও সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দ ও
শান্তিকামী মানুষের শুভেচ্ছায় জাতিপুঞ্জ গঠনের পথ প্রশস্ত হয়। এইভাবে দীর্ঘ
আলাপ-আলোচনা ও পরিকল্পনার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের
উদ্ভব ঘটে। বিশ্বের ৫১টি দেশের প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতভাবে গৃহীত জাতিপুঞ্জের সনদে
স্বাক্ষর করেন।
বিভিন্ন
রাষ্ট্র ও জাতি নিয়ে গঠিত এই আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রস্তাবনায় বিশ্বশান্তির
প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার ঘোষিত হয়েছে। জাতিপুঞ্জের সনদের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, যে-যুদ্ধের করাল গ্রাস
দু-দুবার মানবজাতির জীবনে দুর্বিষহ সংকট সৃষ্টি করেছে তা থেকে আগামী প্রজন্মকে
মুক্ত রাখাই জাতিপুঞ্জের মুখ্য উদ্দেশ্য। সনদে উল্লিখিত প্রস্তাবনায় এই অঙ্গীকার
দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে যে, "WE THE PEOPLE OF THE UNITED NATIONS determined to save
succeeding generations from the scourge of war, which twice in our lifetime has
brought untold sorrow to mankind and to reaffirm faith in fundamental human
rights, in the dignity and worth of the human person in the equal rights of men
and women and of nations large and small."
The failure of the United Nations is the failure of the human
community. The explanation is as simple as that. The United Nations will be as
strong or as weak as its members wish it to be.
-Introduction to the Report of the Secretary-General 1975-76
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন