মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩

নাগরিকত্ব ধারণা এলো কোথা থেকে?

 

নাগরিকত্ব
এবং মানবাধিকার ধারণার উদ্ভব হলো কিভাবে
?



প্রাচীন
গ্রিস ও রোমের নগররাষ্ট্রগুলিতে যাঁরা রাষ্ট্র পরিচালনার কাজকর্মে সক্রিয়ভাবে
অংশগ্রহণ করতেন
, তাঁদেরই
একসময় নাগরিক আখ্যা দেওয়া হত। সে-যুগে শুধুমাত্র অভিজাত পুরুষরা নাগরিক অভিধায়
ভূষিত হতেন। ক্রীতদাস
, মহিলা
ও শ্রমিকরা রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে অংশ নিতে না পারায় নাগরিক হতে পারতেন না।
যুগের পরিবর্তনের ফলে নাগরিকত্ব সম্পর্কিত আধুনিক ধারণার বিকাশ ঘটেছে। বর্তমানে
কোনো রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী ও রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে আনুগত্য প্রদর্শনকারী
সমস্ত ব্যাক্তিকে নাগরিকরূপে অভিহিত করা হয়।



নাগরিকরা
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করার বিনিময়ে রাষ্ট্রপ্রদত্ত কিছু সুযোগসুবিধা বা
অধিকার ভোগ করে থাকে। সাধারণভাবে অধিকারকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়-নৈতিক অধিকার
এবং আইনগত অধিকার। নৈতিক অধিকার সামাজিক ন্যায়নীতিবোধকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে।
নৈতিক অধিকার ভঙ্গ করলে রাষ্ট্র কোনো শাস্তি দিতে পারে না। অন্যদিকে আইনগত অধিকার
আইনের মাধ্যমে স্বীকৃত ও সংরক্ষিত হয়। আইনগত অধিকার লঙ্ঘিত হলে রাষ্ট্রের শাস্তি
দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে। আইনগত অধিকার প্রধানত চার ভাগে বিভক্ত-পৌর বা ব্যক্তিগত
অধিকার
, রাজনৈতিক
অধিকার
, অর্থনৈতিক
অধিকার এবং সামাজিক ও কৃষ্টিগত অধিকার।



১৯৪৫
সালে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদে মানবাধিকার-সংক্রান্ত ধারণার উদ্ভব ঘটে। পরে
জাতিপুঞ্জের উদ্যোগে ১৯৪৮ সালে গৃহীত হয়
মানবাধিকার সংক্রান্ত বিশ্বজনীন ঘোষণা। অবশ্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, মানবাধিকারের ধারণা বহু পূর্বে
'প্রাকৃতিক
অধিকার তত্ত্বের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। মানবাধিকার হল এমন এক অধিকার যা
জন্মসূত্রে সব মানুষের সমানাধিকার ও সমমর্যাদার নীতিকে ঘোষণা করে। প্রতিটি মানুষের
আত্মমর্যাদা নিয়ে জীবনধারণের অধিকার
, স্বাধীনভাবে
বাঁচার অধিকার এবং সমতা ও সমমর্যাদার অধিকার হল মানবাধিকার।



Rights and duties are
correlative conceptions: that is to say every right comes w a corresponding
obligation. They are like the two sides of a coin. Rights depend upon duties.
It is only in a world of duties that rights have significance.



-Eddy Asirvatham [Political Theory, p 215]

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন